মহাস্থানের ইতিহাস পর্ব -৪ দেশের সবচেয়ে প্রাচিন মহানগরী।
মহাস্থানের ইতিহাসঃ ঈসা (আঃ)- এর জন্মের পাঁচশ বছরেরও আগে এখনকার বগুড়া শহরের প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে গড়েউঠেছিল এ দেশের সবচেয়ে প্রাচিন মহানগরী। এক হাজারেরও বেশী সময় টিকে ছিল নগরীটি।
উচু প্রাচির ঘেরা এ নগরীর বাইরেপ্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকরা জুরে ছিল এর শহরতলি এত বড় শহরতলি সহ নগরী সে যুগে পৃথিবীর অন্য কোথাও কমই ছিল।নগরীটির নাম ছিল পুন্ড্রনগর রাজধানী পুন্ড্রনগর থেকে সাশন করা হত পুন্ডবর্ধন রাজ্য পুন্ড্রনগরের এখনকার নাম মহাস্থানগড় এ মহাস্থানের মাটির নিচে চাপা পরে আছে পৃথিবীর প্রাচিনতম নগরী ।
পুন্ড্রনগর এটিদক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচিন নগরী এর যেটুকু খুরে বের করা গেছে তাতে বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলিম যুগের নির্মান সৌন্দর্যেরসন্ধান মিলেছে এ তিন নির্মান যুগেই এলাকাটা ছিল সমৃদ্ধ। সম্রাট অশোকের আমলে এটি ছিল বিখ্যাত জনপদ সম্ভবত এটি সেসময়ই হয়েছিল প্রাচিনকলে পুন্ডনগর ছিল অত্যন্ত নামকরা এলাকা মহাভারতের মতো প্রাচিন সাহিত্যে পুন্ড্রের উল্লেখ আছে এছাড়া বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মীয় প্রাচিন গ্যন্থেও পুন্ড্রবর্ধনের কথা বলা আছে।
এসব কারনে অনেক পন্ডিত সিন্ধু সভ্যতার মোহেন জোদারো-এর সাথে প্রাচিন পুন্ড্রবর্ধনের তুলনা করে বলেন, মহাস্থান হলো বাংলাদেশের মোহেন জোদারো চিনের বিখ্যাতপন্ডিত ও পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬২৯ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পুন্ড্রবর্ধনে এসেছিলেন। তার লেখায় তিনি পুন্ন-ফ- তনন বাপুন্ড্রবর্ধনের কথা খুবই গুরুত্বের সাথে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছিলেন এই নগরীর ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ভাসুবিহার অবস্থি এটি সুপ্রাচিন কালের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এখানে বিদ্যা অর্জন করতে পৃথিবীর নানান দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসতেন।
তিনিউল্লেখ করেছেন,পোসিপো বা ভাসুবিহারে কমপক্ষে ৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন ভাসুবিহারসহ ২০ টি জ্ঞানকেন্দ ছিল তখন পুন্ড্রনগরেরআশেপাশে। তার বর্ণনায় খুবই চাঞ্চল্যকর যে তথ্যটি পাওয়া যায় সেটি হল মহামতি গৌতম বুদ্ধ পুন্ড্রবর্ধন এলাকায় এসেছিলেন।এখানে তিনি ৩ মাস সময় অতিবাহিত করেছিলেন। এ সময় তিনি অহিংসার বাণীসহ বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন।
হিউয়েন সাংপুন্ড্রনগেও মৌর্য সম্রাট অশোক নির্মিত গৌতম বুদ্ধের দেহ ধাতুর উপর প্রতিষ্ঠিত একটি স্মারকস্তম্ভ পরিদর্শন করেছিলেন। প্রাচিনকালে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে চীন ও মঙ্গোলিয়া থেকে ছাত্ররা আসতেন ভাসুবিহারে। এ থেকে বোঝা যায়, এ শিক্ষাকেন্দটি কতগুরত্বপূর্ণ ছিল।
২ হাজার ৪০০ বছর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছাত্ররা যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসত তখন গ্রীস ছাড়া পুরোইউরোপই ডুবে ছিল অশিক্ষা ও বর্বতার অন্ধকারে। শুধু জ্ঞানচর্চাই নয়, যেকোন ধরনের লেখা-পড়া ছিল তখন ইউরোপিয়ানদেরনগালের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়টি টিকে ছিল প্রায় ১ হাজার ২০০ বছর। পুন্ডুনগরের প্রায় চার কিলোমিটার পশ্চিমে গোকুল গ্রামে একটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবসেস আছে।
আনুমানিক ষষ্ঠ শতাব্দীতে এটিবিহার হিসাবে ব্যবহৃত হলেও শিবমন্দির হিসেবে ব্যবহার হয়েছে আবার অনেকের মতে, পুন্ড্রবর্ধনের পাহারার কাজে পর্যবেক্ষণমঞ্চ হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে এটি এলাকার মানুষের কাছে এটি গোকুল ম্যাড় নামে পরিচিত।
তবে এর নির্মান ও গঠনশৌলীঅনুযায়ী এটাকে বৌদ্ধ বিহার ধরা যায় পাহারপুর বৌদ্ধ বিহারের সাথে এর বেশ মিল রয়েছে ভূমি থেকে প্রায় ৫০ ফুট উচু ১৭২ টিভরাট করা কক্ষসহ অনেকটা কচ্ছপের পিটের মত এই ইমারতটিকে লখীন্দরের ম্যাঢ়াও বলা হয়। সপ্তম শতাব্দীর শুরু থেকেমুসলমানদের আগমনের আগ পর্যন্ত প্রায় ১২০০ শতাব্দী পর্যন্ত এই বিহার ব্রবহৃত হয়েছে।
মাটি কুড়ে পুন্ড্রমহানগরীর যতটুকু রহস্যউদঘাটন করা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচারে সে সময় বিরাট উন্নতি সাধন হয়েছিল প্রাচিরসহপাকা ইমারত, চমৎকার ইটের সিঁড়ি, বারান্দাযুক্ত বহুতল ভবন, বিশাল অট্টলিকা, পানীয় জলের কুয়া, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা-এসব ছিল চমৎকার। মাটির গভীরে পালযুগীয় ইমারতের নিচে আরো দুটো নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এখানে খনন কাজচলানোর পর ৩০ ফুট নিচে আসল মাটির সন্ধান পাওয়া গেছে এই গভীরতার মধ্যে পর্যায়ক্রমে ১৭ কোথাও বা ১৮ টি বসতিস্তম্ভেরঅস্তিত্ব আছে। লোহা, তামা, সোনা, ব্রোঞ্জ বিভন্ন ধাতু, পাথর ও পোড়ামাটির বিভন্ন দ্রব্য ছড়িয়ে আছে এসব স্তরে।
নগর পরিকল্পনাবিদর মনে করেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই নগরীর তিন দিকে খাল কাটা হয়েছিল আর এক দিকে ছিলকরতোয়া নদী। ফলে শত্রুর আক্রমন অনেকটা নিরাপদে ছিল শহরটি। এর পর আরো উচু ঘিেও দুভেদ্য হয় এ প্রাচিন রাজধানীশহরটিকে। খুব উঁচু এই প্রাচির ১৭ ফুট পর্যন্ত চওড়া ছিল। সৈন্যদল প্রাচিরের উপর হেটে পাহারা দিতে পারত। এই প্রাচিরের উপরদাড়িয়ে বহু দূরের শত্রুদের দেখা যেত। দুর্গ প্রাচিরের বাইরে উত্তর দিকে গোবিন্দ ভিটায় খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে জন বসতি শুরুহয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম ও দ্বিতীয় শতকের চিত্রফলক, ছাচে ঢাল ও ছাপযুক্ত তামার মুদ্রা সহ নানা রকম নিদর্শন পাওয়া গেছেএখানে। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী থেকে বিভন্ন অঞ্চলের মাটির পাত্র, মুদ্রা, অলংকার, পোড়ামাটি ও পাথরে খোদাই করা চিত্রকলা,পাথরের বুদ্ধমূর্তি, বিভন্ন দেবদেবীর মূর্তি, তামার পদক, লোহার বর্শা, তীর, ছুরি, চাকু, পেরেক প্রভূতি এখানে পাওয়া গেছে।
সম্রাটআশোকের ব্রাহ্মী শিলালিপি ছাড়াও নগরী ও সংস্কৃতিসহ প্রাচিন বাংলালিপি এখানে পাওয়া গেছে। এখানে প্রাপ্ত দুটি ধাতব পাতপাকিস্থানের তক্ষশীলায় পাপ্ত অনুরূপ পাত্রের চেয়েও উন্নত। পরে মুসলিম সুলতানি আমলের ইমারত সহ অনেক নিদর্শন পাওয়াগেছে। ১৩৭৫ খ্রিস্টাব্দের ইলিয়াস শাহ এবং ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দের সামসুদ্দিন ইউসুফ শাহের আমলের মুদ্রাও পাওয়া গেছে। এখানেমৌর্য, শুঙ্গ, সেন, পাল ও সুলতানি আমলের নিদর্শনই শুধু পাওয়া যায়নি, বরং এখানকার সাথে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা জঢ়িত।গৌতম বুদ্েধর আগমন ও সম্রাট অশোকের কীর্তি চাড়াও প্রথম বঙ্গ বিজয়ী ইখতিয়ার আহমেদ মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজিরস্মৃতিও এখানে জড়িয়ে আছে। পুন্ড্রবধৃনের কাছেই করতোয়া নদীর উপর সেতু বানিয়ে কাম রূপ হয়ে তিব্বতে অভিযানচালিয়েছিলেন তিনি। ইসলাম প্রচারক সাধক বলখের যুবরাজ সুলতান ইব্রাহিম বলখি মাহীসাওয়াার এখানে এসে ইসলাম প্রচারকরেছিলেন। রাজর পশুরামের সেনাপতিসহ এ এলাকার মানুষ ব্যপকভাবে তার মাধ্যমে ইসলামে দিক্ষিত হন। ইতি ঘঠে অত্যাচারিপশুরামের রাজত্বে। বিখ্যাত ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী ফকির মজনু শাহ কয়েক বছর ধেও মহাস্থানকে কেন্দ করেই পরিচালনা করছিলেন তার যাবতীয়কর্মকান্ড। এভাবেই প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে ইতিহাসের নানা ঘাত প্রতিঘাতের নিরব সক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে মহাস্থানগড়।মহাস্থানের প্রতিটি ইট ও ধ্বংসাবসেসএসব ইতিহাসের নিদর্শন হয়ে আছে এ এলাকার পুরো খনন কাজ সম্পন্ন হলে বেরিয়ে আসবেইতিহাসের আরও জলন্ত নমুনা। এতে মানব জাতির আরও কল্যান হবে। ইতিহাস অনুসন্ধানীদের উচিত যত তাড়াতাাড়ি সম্ভবমহাস্থ্নগড় পরিদর্শন করা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একই এলাকায় এত দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস আর কোথাও নেই।
এখানে আছে এঅঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ট তিন জাতি ও ধর্মের শাসন এবং ইতিহাসের অসাধারন নমুনা। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ মহাস্থানগড়ঃ মহাস্থান শব্দটির অর্থ হচ্ছে পবিত্র স্থান। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের মধ্যেঅন্যতম। বর্তমানে মহাস্থানগড় শিবগঞ্জ থানার অন্তর্গত। এটি বগুড়া শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এটি মূলতপ্রাচিন বাংলার পুন্ড্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানি পুন্ড্রনগর এর ধ্বংসাবশেস। এটি একটি সুরক্ষিত দুর্গেও আদলে তৈরী নিদর্শন। এটিরপূর্ব দিক দিয়ে করতোয়া নদী প্রবাহিত। দূর্গটির মধ্যে প্রচিন কালের মন্দির, টিলা, মসজিদ, বাসগৃহের নিদর্শনাবলী দেখতে পাওয়াযায়। দূর্গটি সুবিশাল এক প্রাচির দ্বারা বেষ্টিত। এই সুবিশাল ও সুপ্রাচিন প্রাচিরটি উত্তর-দক্ষিনে ১৫২৫ মিটার দীর্ঘ ও পূর্ব পশ্চিমে১৩৭০ মিটার প্রস্থ। এটি সমতল থেকে ৫ মিটার উচু। পুন্ড্রনগর ছিল সমগ্র বাংলার সর্বপ্রধান ও সর্বপ্রাচিন দূর্গ নগরী। এটিমৌর্যবংশীয়,গুপ্তবংশীয় ও পাল সাশকদের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। শেষদিকে হিন্দু সামস্ত রাজাদের রাজধানীও ছিল এটি। ১৯২৭সালে শুরু হওয়া খননকার্যে
অনেক নিদর্শন তথ্য স্থাপত্য আবিস্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঃ জীয়তকুন্ড, মানকালিরধাপ, পশুরামের বাসগৃহ, বৈরাগির ভিটা, খোদার পাথর ভিটা ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে মহাস্থানের উঁচু গড়ে সবচেয়ে বেশী নজর কাড়বে হযরত শাহ্ সুলতান বলখী (রহ:) এর মাজার প্রাঙ্গণ (সুদূর বল্লখদেশ থেকে এসেছিলেন নাম হয় বলখী)। জীয়তকুন্ড কূপটির ভিতরের পরিধি ৩.৮৬ মিটার ও বাইরের পরিধি ৪.৭৮ মিটার। কূপটি১৮শ ১৯শ শতকে নির্মিত। কূপটির ভিতরে গ্রানাইট পাথরের একটি প্রস্তরখন্ড আছে। এটি ছাড়াও কতকগুলো পাথর তাকে তকেসাজানো আছে। কূপটি বর্তমানে মৃত। এছাড়াও খননকার্যে যে সকল স্তুপ আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলোর ছোট্ট বিবরন নিচে তুলে ধরাহলঃ
1. গোবিন্দ ভিটা ঃ সুরক্ষিত দূর্গের উত্তর-পশ্চিম কোনায় অবস্থিত মন্দির। করতোয়া মাহাত্ন্য নামক গ্রন্থে এটি বিষ্ণু মন্দির নামেপরিচিত ।
2. খুরনার ধাপ ঃ সুরক্ষিত দূর্গের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত মন্দির ।
3. মঙ্গল কোট ঃ খুলনার ধাপ থেকে ৪০০ মিটার দক্ষিনে অবস্থিত মন্দির।
4. গোসাইবাড়ি ধাপ ঃ এটিও একটি মন্দির। এটি খুলনা ধাপ থেকে কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।
5. বিহার (তোতারাম পন্ডিতের ধাপ) ঃ সুরক্ষিত দূর্গের ৪ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে মঠ।
6. ভাসু বিহার (নর পতির ধাপ ) ঃ বিহারের ১ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে কয়েকটি মঠের (এই বিহারকে চিনা পর্যটক হিউয়েনসাং পো
সিপো বিহার বলে আখ্যায়িত করেন)
7. গোকুল মেধ ঃ এটি লখিন্দরের বাসর ঘর নামে অধিক পরিচিত। এটি দূর্গ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।
8. কান্দের ধাপ ঃ গোকুল মেধের দক্ষিন-পূর্বে অবস্থিত মন্দির। এটি কার্তিকের মন্দির নামে পরিচিত। যে কেউ মহাস্থানে এলেযেটি দেখা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় করেন সেটি হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। এটি স্থাপিত হয় ১৯৬৭ সালে।
মহাস্থানের সবচেয়ে প্রাচিননিদর্শন ব্রাহ্মী/শিলাপি যেটিতে লেখা পাওয়া যায় । এছাড়াও মহাস্থানগড় জাদুঘরে যে সব নিদর্শন পাওয়া যায় সেগুলোর বিবরননিচে দেওয়া হল
৪র্থ ও ৫ম শতকের দন্ডায়মান বুদ্ধের মূর্তি ও বেলেপাথরের অলংকৃত স্তম্ভ । শৃঙ্খ যুগের পোড়ামাটির ফলক,ঢালাই মুদ্রা, মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির সীল রয়েছে
যা খ্রীস্টপূর্ব ৪০০-২০০ শতকের। ৬ষ্ঠ-৭ম শতকের সূর্য, নারী মূর্তি, ব্রোঞ্জমূর্তি, বেলেপাথরের বুদ্ধ। ৯ম-১০ম শতকের জালের গুটিকা, সূর্যের মূর্তি, শিবলিঙ্গ, ব্রোঞ্জের মূর্তি, বিষ্ণু, বরাহ
বিষ্ণু, গরুড়ারোহ বিষ্ণু, চামুন্ডা,গণেশ, পার্বতি, মূর্তি, অবলোকিতেশ্বও, চামধারিণী, কৌমারি, নরসিংহি মহিষমর্দ্দিনী শোভা পাচ্ছে।
মহাস্থানের সবচেয়ে প্রাচিননিদর্শন ব্রাহ্মী/শিলাপি যেটিতে লেখা পাওয়া যায় । এছাড়াও মহাস্থানগড় জাদুঘরে যে সব নিদর্শন পাওয়া যায় সেগুলোর বিবরননিচে দেওয়া হল
৪র্থ ও ৫ম শতকের দন্ডায়মান বুদ্ধের মূর্তি ও বেলেপাথরের অলংকৃত স্তম্ভ । শৃঙ্খ যুগের পোড়ামাটির ফলক,ঢালাই মুদ্রা, মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির সীল রয়েছে
যা খ্রীস্টপূর্ব ৪০০-২০০ শতকের। ৬ষ্ঠ-৭ম শতকের সূর্য, নারী মূর্তি, ব্রোঞ্জমূর্তি, বেলেপাথরের বুদ্ধ। ৯ম-১০ম শতকের জালের গুটিকা, সূর্যের মূর্তি, শিবলিঙ্গ, ব্রোঞ্জের মূর্তি, বিষ্ণু, বরাহ
বিষ্ণু, গরুড়ারোহ বিষ্ণু, চামুন্ডা,গণেশ, পার্বতি, মূর্তি, অবলোকিতেশ্বও, চামধারিণী, কৌমারি, নরসিংহি মহিষমর্দ্দিনী শোভা পাচ্ছে।
১১শ- ১২শ শতকের প্রস্তর নোড়া, মর্বেল পাথরের নন্দী, বিদ্যাধর, মনসা, ব্রহ্মা, হরিহর, হরগৌড়ে, মা ও শিশু, মন্দির, নৃত্যরতগনেশ, গৌরি, বিষ্ণু, রেণুগোপাল, বিষ্ণুপট্টি, নবগ্রহ প্যানেল,
ননীগোপাল সহ অন্যান্য মূর্তি। ১৮শতকের নন্দীবৃষ, শিবলিঙ্গ ইত্যাদি।পোড়ামাটির দুর্গা, পদ্ম, চূরা, ফলকচিত্র। ১৫০৪ খ্রিস্টাব্দের আরবি শিলা লিপি। ১৬৮৫ সালের মহাস্থানের মাজার
শরীফের সনদউল্লেখযোগ্য। মহাস্থানের আরো নিদর্শন অনাবিষ্কৃত রয়েছে। যা বিভন্ন সময়ে খননের ফলে উন্নোচত হচ্ছে মহাস্থানের নতুন নতুনপরিচয়। মহাস্থানগড় আমাদের ঐতিহ্য,
আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের হেরিটেজ। মহাস্থান আমাদের প্রাচিনতম সভ্যতার নিদর্শনবহনকারী ইতিহাস। মহাস্থানগড় আজ ওয়ার্ড হেরিটেজ-এর অন্তর্ভূক্ত। যা আমাদের গৌরব।
ননীগোপাল সহ অন্যান্য মূর্তি। ১৮শতকের নন্দীবৃষ, শিবলিঙ্গ ইত্যাদি।পোড়ামাটির দুর্গা, পদ্ম, চূরা, ফলকচিত্র। ১৫০৪ খ্রিস্টাব্দের আরবি শিলা লিপি। ১৬৮৫ সালের মহাস্থানের মাজার
শরীফের সনদউল্লেখযোগ্য। মহাস্থানের আরো নিদর্শন অনাবিষ্কৃত রয়েছে। যা বিভন্ন সময়ে খননের ফলে উন্নোচত হচ্ছে মহাস্থানের নতুন নতুনপরিচয়। মহাস্থানগড় আমাদের ঐতিহ্য,
আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের হেরিটেজ। মহাস্থান আমাদের প্রাচিনতম সভ্যতার নিদর্শনবহনকারী ইতিহাস। মহাস্থানগড় আজ ওয়ার্ড হেরিটেজ-এর অন্তর্ভূক্ত। যা আমাদের গৌরব।
মহাস্থানের ইতিহাস পর্ব -৪ দেশের সবচেয়ে প্রাচিন মহানগরী।
Reviewed by sohel
on
09:12
Rating:
Geen opmerkings nie: